ইউনেস্কো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সদস্যপদ প্রত্যাহার কিসের ইঙ্গিত?


জাতিসংঘের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসংগঠন হল ইউনেস্কো। ইউনেস্কো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উঠে যাওয়া ইঙ্গিত করে শীঘ্রই জাতিসংঘ থেকেও যুক্তরাষ্ট্র তার সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেবে। আর জাতিসংঘ থেকে যুক্তরাষ্ট্র চলে যাওয়া মানে জাতিসংঘ ভেঙ্গে যাওয়া, পৃথিবীর অন্য সব দেশ জাতিসংঘে থাকলেও তাতে কিছু আসে যায় না। পৃথিবীর “রুলিং স্টেট ইন দ্য ওয়ার্ল্ড” হতে হলে ইসরাইল কোন ওয়ার্ল্ড গভার্নমেন্ট বডির আন্ডারে থাকতে পারবে না। ফলে দাজ্জালকে জাতিসংঘের মত ওয়ার্ল্ড গভার্নমেন্ট বডি যেগুলো আছে সেগুলো ভেঙ্গে ফেলতে হবে।
.
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯২০ সালে গঠন করা হয় “লীগ অব নেশনস” আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৫ সালে গঠন করা হয় জাতিসংঘ বা “ইউনাইটেট নেশনস”। এই বিশ্ব সরকার ব্যবস্থাগুলো গঠন করার পেছনে উদ্দেশ্য ছিল পৃথিবীর সমস্ত দেশগুলোকে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসা ও দাজ্জালের জেরুজালেম থেকে পৃথিবী শাসন করার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা। জাতিসংঘ শুরু থেকে এমনভাবেই সেটাপ করা হয় যেন যুক্তরাষ্ট্র “ভিটো” ক্ষমতা ব্যবহার করে ইসরাইলকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে ও আজকের মহাশক্তিধর ইসরাইলে পরিণত করতে পারে। এভাবে ভিটো দিয়ে ইসরাইলকে বাঁচানো যাবে কিন্তু ইসরাইলের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। আন্তর্জাতিক কমিউনিটি থেকে ইসরাইলবিরোধী চাপ দিন দিন বাড়ছেই। এভাবে চলতে থাকলে একসময় দুই রাষ্ট্র নীতি অনুযায়ী ইসরাইল ও ফিলিস্তিনকে দুইটি আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে ভাগ করে দিতে হবে যা ইসরাইল কখনোই হতে দেবে না। সমগ্র পবিত্রভূমি দখল করে তার উপর কর্তৃত্ব কায়েম না করতে পারলে কোন ইহুদিই দাজ্জালকে “আল-মাসিহ” বলে মেনে নেবে না।
.
মোট কথা, জাতিসংঘের ফাংশন শেষ। তাই একে ভেঙ্গে দেওয়ার পায়তারা চলছে। ইসরাইল এখন পর্দার আড়াল থেকে বের হয়ে আসবে ও বিশ্ব সরকারের স্থান দখল করবে। দাজ্জালের এক সপ্তাহ সমান এক দিন শুরু হবে। তবে তার আগে ইসরাইলকে বেশ কিছু বড়সড় যুদ্ধ করতে হবে। সেটা সম্ভবত ইরানের উপর ইসরাইলি হামলা দিয়েই শুরু হবে।

ট্যাগ
দাজ্জাল, ইসরাইল, ইরান, মাসিহ, জাতিসংঘ, ভিটো, জেরুজালেম, ইউনেস্কো, আখেরী জামানা

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান